ঢাকা , বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫ , ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সচিবালয়ের ৮ ভবন সংস্কারের নামে বছরে ৫ কোটি টাকা লোপাট

কমিশন বানিজ্য গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী সাত্তারের এক মাসেই কোটি টাকা

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ০৬-১১-২০২৫ ১২:০৩:৩৩ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০৬-১১-২০২৫ ১২:০৩:৩৩ অপরাহ্ন
কমিশন বানিজ্য গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী সাত্তারের এক মাসেই কোটি টাকা প্রকৌশলী সাত্তারের এক মাসেই কোটি টাকা
সচিবালয়ের ৮ ভবন সংস্কারের নামে বছরে ৫ কোটি টাকা লোপাট

গণপূর্ত অধিদপ্তরের ইডেন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুস সাত্তারকে গত জুলাই মাসে বদলী করা হয়েছিল সংস্থাটির ভবনে। কিন্তুু তিনি তদবির করে নতুন কর্মস্থলে যোগ না দিয়ে এক মাস সময় বাড়িয়ে নেন। আর এই এক মাস সময়ে তিনি চলতি অর্থ বছরের এপিপির প্রায় ৯ কোটি টাকার কাজ ঠিকাদারদের ১০ শতাংশ কমিশনের বিনিময়ে তড়িঘড়ি করে দিয়ে দেন। এতে তিনি এক মাসেই প্রায় ৯০ লাখ টাকা কমিশন বানিজ্য করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সংস্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশ সচিবালয়ের অভ্যন্তরে ৮ টি ভবন সংস্কারের জন্য সদ্য সমাপ্ত অর্থ বছরে প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এর মধ্যে কাজ না করেই ঠিকাদারদের সঙ্গে কাগজে কলমে কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে লোপাট হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা। যার অর্ধেকই পেয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তারসহ সংস্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। কাজ না করেই গোপন দরপত্রের নামে এই টাকা তুলে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে সংস্লিষ্টরা অভিযোগ করেছেন। এভাবে গত ৩ বছর ধরে ইডেন গণপূর্ত বিভাগে থেকে এপিপির প্রায় ১৫ কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। নির্বাহী প্রকৌশলী ৩ বছরে ৬ কোটি টাকা কমিশন পেয়েছেন শুধু সংস্কার কাজ না করেই লোপাট করা অর্থ থেকে। গত তিন অর্থ বছরের সংস্কার কাজগুলো সরেজমিনে খতিয়ে দেখলে এর প্রমান পাওয়া যাবে।

ইডেন গণপূর্ত বিভাগের অধিন সচিবালয়ের ৯ টি ভবনের সংস্কারের জন্য গত  ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছওে দেড় শতাধিক কাজ দেখিয়ে খরচ করা হয়েছিল প্রায় ২২ কোটি  টাকা। আর গত ৩ বছরে প্রায় ৬০ কোটি ব্যয় হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে এর মধ্যে একটা বড় অংশই কাজই না করে ভুয়া বিলের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে। কাজগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে ঠিক একই ধরনের কাজ বিগত বছরগুলোতেও করা হয়েছে। একই ভবনের একই ফ্লোরে একই কাজ করা হয়েছে কয়েকটি ভাগে। বেশির ভাগ কাজই প্রতিবছরের মতো দরজা জানালা মেরামত ও রং করার নামে খাতা কলমে কাজ দেখিয়ে বিল তুলে নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুস সাত্তার এবং সংস্লিষ্ট অন্য প্রকৌশলীরা ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজসে অনেক কাজই না করে বিল তুলে ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় অধিকাংশ  কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে অর্থ বছরের শেষে মে ও জুন মাসে। বিষয়টি তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে।

বিতর্কিত এই নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তারকে সম্প্রতি ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-২ প্রাইজ পোষ্টিং দেওয়া হয়েছে। 

নিউজটি আপডেট করেছেন : News Upload

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ