গণহত্যা মামলার পলাতক আসামীর ব্যাংক ঋণপুনঃ তফসিলে
বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের অনিয়ম ।
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
০৬-১১-২০২৫ ১২:১৫:৪০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০৬-১১-২০২৫ ১২:১৫:৪০ অপরাহ্ন
পলাতক আসামী আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিঃ
গণহত্যা মামলার পলাতক আসামীর ব্যাংক ঋণপুনঃ তফসিলে
জুলাই গণহত্যা মামলার পলাতক আসামী আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিঃ সত্বাধিকারী শাহজাহান চৌধুরীর ব্যাংক ঋণ পুনঃ তফসিলে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের বিরোদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠে এসেছে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, পলাতক আসামী বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এবি এম নাজমুল কাদির শাহজাহান চৌধুরী এর মালিকানাধীন আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিঃ যা ইসলামী ব্যাংক বগুড়া বড়গোলা শাখার অর্থায়নে নির্মিত হয়। সেই ঋণের বর্তমান স্থিতি প্রায় ৩৭ কোটি টাকা।
ঋণটি এখন খেলাপী মানে শ্রেণীকৃত। এই ঋণ পুনঃ তফসিলের জন্য গত বছরের ডিসেম্বর মাসের ০১ তারিখে শাহজাহান চৌধুরী বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি সহায়তার আলোকে (সুত্র: বিআরপিডি, ডিভিশন-১/সিআরএস/৯০২(৪)/২০২৫- ১২৩৪৯. ২৩/১০/২০২৫) ২% ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ঋণটি পুনঃ তফসিল করার আবেদন করেন এবং বাংলাদেশ ব্যাংক সেটি অনুমোদন করেন ও পরে ইসলামী ব্যাংকে অনুমোদনের কপিটি প্রেরণ করা হয়। উল্লেখ্য যে,নীতি সহায়তা পাওয়ার যোগ্যতার শর্ত ছিল যারা ৫০ কোটি বা এর চেয়ে বেশি ঋণ খেলাপী আছে যাদের। সেই শর্ত অনুযায়ী আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিঃ যোগ্যতম নয়। সেগুলোকে তোয়াক্কা না করে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের নীতি সহায়তার সুবিধা দিয়েছে।
উল্লেখ্য যে, স্পেশাল ব্রাঞ্চ বাংলাদেশ পুলিশ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী (স্বারক সংখ্যা এসবি/এফআই/২০২৫/৭৭০(৩). ০৯/১০/ ২০২৫)। এ বি এম নাজমুল কাদের শাহজাহান চৌধুরী ও তার স্ত্রী ইসমত আরা লাইজু গতবছরে ৫ই আগষ্ট সরকারের পট পরিবর্তনের পর গত বছরের ১৯ শে সেপ্টেম্বর দেশ থেকে পালিয়ে স্বপরিবারে আমেরিকা চলে যায়। তার বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানা ও শিবগঞ্জ থানায় মোট ০৯টি হত্যা মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, স্পেশাল ব্রাঞ্চ বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিবেদনটি বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংক বরাবর
(স্বারকঃসংখ্যা-এসবি/এফআই/২০২৫/৭৭০(৩)প্রেরণ করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত প্রতিবেদন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসিকে অবহিত করেন (সূত্র নং: বিআরপিডি, ডিভিশন-১ (সিআরএস-১)/৯০১/২০২৫-১৩৪৫৫)গত মাসের ২৩ অক্টোরে। একজন পলাতক আসামী হয়ে কি ভাবে কোম্পানীর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ও পরিচালক ব্যাংকের আবেদন পত্রে স্বাক্ষর করেন এটি সকলের মনে প্রশ্ন জেগেছে, কাজেই গত বছরের ডিসেম্বর মাসের ০১ তারিখে নীতি সহায়তার আবেদনটি মিথ্যা বলে অনেকে ধারনা করছেন।
ইতিমধ্যে ইসলামী ব্যাংক বগুড়া বড়গোলা শাখার এই ঋণটি পুনঃ তফসিলের জন্য ডাকযোগে, হোয়াটস্অ্যাপ ম্যাসেঞ্জারে আবেদন এনে নতুন করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ঋণ পুনঃ তফসিল করার পায়তারা করছেন বলে জানাগেছে। তবে আইনে রয়েছে কোন বিদেশে পলাতক আসামীর যেকোন স্বাক্ষরকৃত আবেদন বা কোম্পানির রেজুলেশন ব্যাংক বা কোন প্রতিষ্ঠান গ্রহন করে তার উপর কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেন না ।
এই ব্যাপারে ইসলামী ব্যাংক বড়গোলা শাখার ম্যানেজার জনাব তৌহিদ রেজাকে ফোন করলে উনি কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : News Upload
কমেন্ট বক্স