ঢাকা , বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫ , ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাবেক ডিজি রকিবুলকে দুদকে তলব

ম্যাক্স-তমার শত শত কোটির দুর্নীতি :সাবেক ডিজি রকিবুলকে দুদকে তলব

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ০৮-১১-২০২৫ ১১:২৮:১০ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ০৮-১১-২০২৫ ১১:২৮:১০ পূর্বাহ্ন
ম্যাক্স-তমার শত শত কোটির দুর্নীতি :সাবেক ডিজি রকিবুলকে দুদকে তলব সাবেক ডিজি রকিবুলকে দুদকে তলব
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের “কালুখালী–ভাটিয়াপাড়াঘাট সেকশন এবং কাশিয়ানি–গোপালগঞ্জ–টুঙ্গিপাড়া নতুন রেলপথ নির্মাণ (২য় সংশোধিত)” প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে সাবেক মহাপরিচালক, মো. রফিকুল আলম-কে বক্তব্য প্রদানের জন্য তলব করেছে দুদক।সূত্রে জানা যায়, এই অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য চার সদস্যবিশিষ্ট একটি টিম গঠন করা হয়েছে। দলনেতা হিসেবে রয়েছেন মো. আশিকুর রহমান, সহকারী পরিচালক; সদস্য হিসেবে আল-আমিন, সহকারী পরিচালক এবং সাবিকুন নাহার, উপসহকারী পরিচালক।

দুদক সূত্র জানায়, “কালুখালী–গোপালগঞ্জ–টুঙ্গিপাড়া” প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও তমা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামে দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার, ভুয়া এলসি খুলে বিদেশে অর্থ পাচার ও ঋণ আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মে জড়িত ছিল।দুদকের নোটিশে বলা হয়েছে, অভিযোগের বিষয়ে সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে সাবেক মহাপরিচালক রেলওয়ে কাজী মো. রফিকুল আলমকে আগামী ১০ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির হয়ে নিজের বক্তব্য প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দুদক বলছে, প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক অনিয়ম, খরচ বৃদ্ধির অজুহাতে বাজেট বাড়ানো এবং কাজের মানের প্রশ্নে বহু অভিযোগ এসেছে। এসব বিষয় যাচাইয়ের জন্য প্রকল্প পরিচালকের বক্তব্য নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।দুদক ও রেল মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ বছরে তমা ও ম্যাক্স গ্রুপ রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে রেলের অন্তত ৩০ হাজার কোটি টাকার কাজ পেয়েছে।
এর মধ্যে বেশিরভাগ প্রকল্পেই ব্যয় একাধিকবার বাড়ানো হয়, কাজের মান প্রশ্নবিদ্ধ হয়, এবং বিশাল অঙ্কের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে।

সবচেয়ে আলোচিত প্রকল্প চট্টগ্রামের দোহাজারি–রামু–কক্সবাজার নতুন রেলপথ, যার প্রাথমিক ব্যয় ছিল ১,৮৩৪ কোটি টাকা, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকায়।২০১৮ সালে দুদক প্রথমবার তমা–ম্যাক্স সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে। তখন ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ ডুয়েল রেলপথের টেন্ডার ছিনতাই ও বিদেশি ঠিকাদার অপহরণের তথ্যও পাওয়া যায়। কিন্তু অদৃশ্য প্রভাবের কারণে সে অনুসন্ধান স্থগিত হয়ে যায়।

এরপর ২০২৪ সালে দুদক পুনরায় অনুসন্ধান শুরু করলেও সেটিও আলোর মুখ দেখেনি। এবার তৃতীয় দফায় দুদক সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : News Upload

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ