ঢাকা , বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫ , ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাকা ওয়াসা

দুর্নীতির অভিযোগ ছিল, এখন তাঁকে এমডি করতে ‘ছল বল কৌশল

আপলোড সময় : ১০-১১-২০২৫ ০১:১১:৪৮ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১০-১১-২০২৫ ০১:১১:৪৮ অপরাহ্ন
দুর্নীতির অভিযোগ ছিল, এখন তাঁকে এমডি করতে ‘ছল বল কৌশল ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)

আব্দুস সালামকে নিয়োগের জন্য একাধিকবার সংশোধন করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তির শর্ত। নিয়োগের যোগ্য করতে তাঁকে পদোন্নতিও দেওয়া হয়েছে। তারপর কোনো ধরনের সাক্ষাৎকার ছাড়াই তিনজনের তালিকায় আব্দুস সালামের নাম সবার ওপরে দিয়ে পাঠানো হয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে।

যদিও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। বিজ্ঞপ্তি দেখে অনেকে আবেদনও করেছিলেন।

এদিকে মন্ত্রণালয় তিনজনের নামের তালিকাটি প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে পাঠিয়েছে। সেখান থেকেই নিয়োগ হবে।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সরকারি সংস্থাগুলোর শীর্ষ পদগুলোর নিয়োগে স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি ও আর্থিক লেনদেনের অনেক অভিযোগ ছিল।

ঢাকা ওয়াসার এমডি পদে ২০০৯ সালে নিয়োগ পেয়ে ১৫ বছর তা আঁকড়ে থাকেন তাকসিম এ খান। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও সরকারি অর্থের অপচয়ের অনেক অভিযোগ রয়েছে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাকসিম এ খান আত্মগোপনে চলে যান। গত বছরের ১৪ আগস্ট তিনি পদত্যাগ করেন।

ঢাকা ওয়াসায় এরপর আর স্থায়ী এমডি নিয়োগ নিয়োগ দেওয়া হয়নি। সাময়িকভাবে তিনজনকে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. শাহজাহান মিয়া। তাঁকেও গত ৩০ অক্টোবর সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে পদটি শূন্য।

অভিযোগ রয়েছে, পছন্দের ব্যক্তিকে বসানোর জন্যই পদটিতে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে ‘পছন্দের ব্যক্তি’ আব্দুস সালামের বিরুদ্ধ দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে বিগত সরকারের আমলে তাঁকে প্রায় চার বছর প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরে সংযুক্ত করে রাখা হয়, যা অনেকটা জনপ্রশাসনের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে রাখার মতো। অর্থাৎ কোনো কাজ দেওয়া হয় না।

নিউজটি আপডেট করেছেন : News Upload

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ