ঢাকা , বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫ , ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

​আবহাওয়া ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের ভয়াবহ দুর্নীতি

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ১৩-১১-২০২৫ ০৮:০১:১৪ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৩-১১-২০২৫ ০৮:০১:১৪ অপরাহ্ন
​আবহাওয়া ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের ভয়াবহ দুর্নীতি বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের একটি সুপরিকল্পিত অনিয়মের চিত্র উঠে এসেছে উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের আবাসিক ভবন সংস্কার কাজে। তিন বছর আগে কাজের মেয়াদ শেষ হলেও প্রকল্পে অস্বাভাবিক তৎপরতা, বাতিল হওয়া টেন্ডার পুনরায় অনুমোদন, এবং বরাদ্দ উত্তোলনে অসাধু তৎপরতা—সব মিলিয়ে এই প্রকল্প আজ দুর্নীতির জ্বলন্ত উদাহরণ।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রকল্পের কাজ প্রকৃতভাবে ৩০-৪০ লাখ টাকায় সম্পন্ন করা সম্ভব হলেও সেটিকে এক কোটি ১৭ লাখ টাকায় অনুমোদন দেওয়া হয়। সেইসাথে প্রকল্পে ব্যবহারযোগ্য নির্ধারিত স্টিমেট না মেনে, ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের ও পুরনো স্টিমেট—যা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণে ধরা পড়ে।
এমনকি মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে তিনবার চিঠি পাঠানো হয় গণপূর্ত সার্কেল ৩-এ—যা অস্বাভাবিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন সংশ্লষ্টরা।
অভিযোগ রয়েছে, এই অনিয়মের কেন্দ্রে রয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ মমিনুল ইসলাম, পরিকল্পনা মহা শাখার ইনচার্জ আরিফ হোসেন, এবং গণপূর্ত সার্কেল ৩-এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নূরুল আমিন মিয়া ও এক্সেন এইচ এম ফায়েজুল।

“জুন মাস শেষ হওয়ার আগেই ফান্ড উত্তোলনের জন্য তড়িঘড়ি শুরু করেছে উভয় দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প্রকল্প বাস্তবায়ন নয়, বরং মূল লক্ষ্য অর্থ উত্তোলন,” —বলেন এক কর্মকর্তা, নাম প্রকাশ না করার শর্তে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, বাজেট বছর শেষ হওয়ার আগেই দ্রুত ফান্ড উত্তোলন করেই বরাদ্দ ‘বাঁটবাটোয়ারা’র লক্ষ্যেই চলছে এই নাটক। আর এই তৎপরতা আড়াল করতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক নিজেই ঠিকাদারদের উপর প্রভাব খাটিয়ে জোর করে ইতিবাচক প্রতিবেদন সংগ্রহের চেষ্টা করছেন।

অন্যদিকে সাংবাদিকরা পরিকল্পনা মহা শাখার ইনচার্জ আরিফ হোসেন-এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযোগ এড়িয়ে গিয়ে পুরো দায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপর চাপিয়ে দেন। গণপূর্ত সার্কেল ৩-এর দপ্তরেও একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

সরকারি অর্থের এহেন অপব্যবহার এবং দুর্নীতির স্পষ্ট আলামতের পরও যদি দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে ভবিষ্যতে এমন অপচয়ের মাত্রা আরও বাড়বে। তাই অবিলম্বে প্রকল্পে জড়িত সকল কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত, প্রকল্পের স্বচ্ছ অডিট এবং ফান্ড উত্তোলনের কার্যক্রম বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সচেতন মহল।

নিউজটি আপডেট করেছেন : News Upload

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ