বিএডিসি’র আড়ালে দুর্নীতির কারখানা
বিএডিসি’র আড়ালে দুর্নীতির কারখানা: গুদামরক্ষকের বিরুদ্ধে কোটি টাকার জালিয়াতির অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
১৬-১১-২০২৫ ১২:১২:৫১ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১৬-১১-২০২৫ ১২:১২:৫১ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) কুষ্টিয়া অঞ্চলের গুদামরক্ষক বিপ্লব শীল ভূলনের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, বীজ বিক্রির মাধ্যমে অর্জিত সরকারি তহবিল ব্যাংকে জমা না করে তিনি নিজ নামীয় একাধিক ব্যাংক হিসাবে রেখে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
জানা গেছে, বিপ্লব শীল ২০১৮ সালের ১০ মে গুদামরক্ষক হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। ২০১৯-২০২৫ সময়কালে তার একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক পরিমাণ লেনদেন হয়, যার পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা। এই অবৈধ লেনদেনে তাকে সহায়তা করেছেন বিএডিসির আঞ্চলিক উপ-পরিচালক (বীজ বিপণন) মোহাম্মদ আশরাফুল আলম এমন অভিযোগ রয়েছে স্বয়ং এই অফিস প্রধানের বিরুদ্ধেও।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, বিপ্লব শীল ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। রাজনীতির প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগ পাওয়ার পর চুয়াডাঙ্গা ও পরবর্তীতে কুষ্টিয়া অঞ্চলে গুদামের দায়িত্ব পান তিনি। অভিযোগ রয়েছে, তিনি রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় স্থানীয় প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের সাথে যুক্ত হয়ে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন।
স্থানীয় ডিলারদের অভিযোগ, গুদামরক্ষক বিপ্লব শীল বিভিন্ন সময়ে ডিলারদের হয়রানি, অতিরিক্ত অর্থ আদায়, বরাদ্দকৃত বীজ অন্যত্র বিক্রয়, ও ভ্যাট আদায়ের নামে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। এছাড়া, বরাদ্দপ্রাপ্ত বীজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিতরণ না করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি বিএডিসির প্রধান কার্যালয় থেকে কুষ্টিয়া অঞ্চলে ২,৩০০ মেট্রিক টন গম বীজ পাঠানো হয়। সরকারি বিধিমালা অনুযায়ী “আগে আসলে আগে পাবেন” ভিত্তিতে বিতরণ হওয়ার কথা থাকলেও, বিপ্লব শীল এই বিধিমালা উপেক্ষা করে নিজের পছন্দের ডিলারদের মধ্যে বীজ বিতরণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, তার নিজস্ব একটি ব্যাংক হিসাব (আইএফআইসি ব্যাংক, বরইকান্দি শাখা, হিসাব নং: 0190317662811) সহ একাধিক হিসাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে, যা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান সাপেক্ষে যাচাইযোগ্য।
স্থানীয় ডিলার ও কৃষকরা দাবি জানিয়েছেন, বিপ্লব শীলের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু ও সম্পদের উৎস অনুসন্ধান করে আত্মসাৎ করা সরকারি অর্থ উদ্ধার করে কোষাগারে জমা দেওয়া হোক।
এ বিষয়ে বিএডিসি বা দুদকের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : News Upload
কমেন্ট বক্স