ঢাকা , বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫ , ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

​মৎস্য অধিদপ্তরের চিত্র-১ ‘স্বৈরাচারপন্থী’ আনোয়ার কবীরের প্রভাব-প্রতিপত্তি!

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ১৬-১১-২০২৫ ১২:৩৮:৫৭ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৬-১১-২০২৫ ১২:৩৮:৫৭ অপরাহ্ন
​মৎস্য অধিদপ্তরের চিত্র-১ ‘স্বৈরাচারপন্থী’ আনোয়ার কবীরের প্রভাব-প্রতিপত্তি! মোঃ আনোয়ার কবীরকে
মৎস্য অধিদপ্তরের প্রশাসন-২ শাখার সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোঃ আনোয়ার কবীরকে ঘিরে নানা অনিয়ম, পক্ষপাত ও রাজনৈতিক সুবিধাবাদের অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি আওয়ামী লীগ আমলে ধারাবাহিকভাবে সুবিধা ভোগ করে আসছেন এবং স্বৈরাচারী প্রশাসনিক কৌশলে এখনো অধিদপ্তরের বিভিন্ন কার্যক্রমে প্রভাব বিস্তার করছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছাত্র ও সচেতন নাগরিক সমাজ যখন দেশের প্রশাসনিক সংস্কার এবং রাজনৈতিক নিরপেক্ষতার দাবি জোরালো করছে, তখন আনোয়ার কবীরের মতো ‘স্বৈরাচার-ঘেঁষা’ কর্মকর্তার স্থিতি এবং প্রভাব ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করছেন অনেকেই।

রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগ

সূত্র বলছে, আনোয়ার কবীর দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত একটি বিশেষ গোষ্ঠীর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। তিনি নিজ দপ্তরের নিয়োগ, বদলি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন। এমনকি কোনো নীতিমালা অনুসরণ না করেই নির্দিষ্ট রাজনৈতিক মতাদর্শের ব্যক্তিদের পুরস্কৃত করেন, তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করেন।

পছন্দের ঠিকাদারকে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া:

অভিযোগ রয়েছে, আনোয়ার কবীর প্রকল্প ও সরবরাহ-সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রমে তার পছন্দের নির্দিষ্ট ঠিকাদারদের প্রাধান্য দিয়ে টেন্ডার প্রক্রিয়া পরিচালনা করেন। এতে করে সরকারি অর্থের অপব্যবহার, স্বচ্ছতার অভাব এবং সরকারি কাজের গুণগতমান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

পুরনো রাজনৈতিক মামলা ব্যবহার করে হয়রানি

আনোয়ার কবীরের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, তিনি অতীতে স্বৈরাচার আমলে বা আওয়ামী শাসনামলে দায়েরকৃত রাজনৈতিক মামলার সূত্র ধরে অধিদপ্তরের কিছু কর্মকর্তাকে এখনো হয়রানি করছেন। এসব মামলার অধিকাংশই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করা হলেও তিনি সেগুলোর তথ্য তুলে ধরে চাকরিজীবীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

আওয়ামী ঘরানার কর্মচারীদের রক্ষাকবচ:

মৎস্য অধিদপ্তরের অভ্যন্তরে আওয়ামী লীগপন্থী কর্মচারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে আনোয়ার কবীর ‘প্রশাসনিক পক্ষপাতের রূপকার’ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। রাজনৈতিক মদদপুষ্ট এই শ্রেণির কর্মচারীদের কারণে অধিদপ্তরের নিরপেক্ষতা ও দক্ষতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে।

সমালোচনা ও প্রতিক্রিয়া:

প্রশাসনিক বিশ্লেষকরা বলছেন, “মৎস্য অধিদপ্তরের মতো টেকনিক্যাল ও জনকল্যাণমুখী প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক রং মাখানো প্রশাসনিক আচরণ অত্যন্ত বিপজ্জনক।” সংস্কারের এই সময়ে এমন কর্মকর্তা বহাল থাকা সরকারের সদিচ্ছার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।

স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রশ্নে প্রশাসনের প্রতি জনগণের আস্থা ফেরাতে হলে আনোয়ার কবীরের মতো রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট, প্রশাসনিকভাবে স্বেচ্ছাচারী কর্মকর্তাদের কার্যক্রম নিয়ে এখনই সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।

নিউজটি আপডেট করেছেন : News Upload

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ